গায়ক কেকে’র প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ভারত

হিন্দি, তামিল ও বাংলাসহ একাধিক ভাষায় গান গেয়ে বহু মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন বলিউড তারকা শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ কেকে। জান্নাত মুভির ‘জারা সা’, গ্যাংস্টারের তুহি মেরি সাব হে’র মতো তার অনেক জনপ্রিয় গান ভক্তদের মুখে মুখে। মঙ্গলবার সবাইকে শোকে ভাসিয়ে ৫৩ বছর বয়সে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, শিল্পী, সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারসহ অনেকে।

কেকে’র অকাল প্রয়াণে জনপ্রিয় শিল্পী অনুপম রায় বলেন, ‘কী করে হয়ে গেলো, কিছুই বুঝতে পারছি না। খুবই দুঃখজনক পরিস্থিতি। অবাক লাগছে, যে মানুষটা স্টেজ দাপিয়ে বেড়াতেন। কথা বলার ভাষা নেই’।

নিজের সঙ্গে কেকের একটি ছবি শেয়ার করে গায়ক মোহিত চৌহান টুইটে লিখেন, এখনই আপনার চলে যাওয়ার সময় নয়।

আরেক তারকা শিল্পী প্রীতম বলেন, চরম ধাক্কা। কেউ আমাকে বলুন খবরটি সত্য নয়।

বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারে টুইট লিখেছেন, কেকে’র এমন মৃতুতে শোকাহত ও মর্মাহত।

ভারতীয় সাবেক তারকা ক্রিকেটার বীরেন্দর শেবাগ লিখেছেন, ‘পারফর্ম করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কেকে চলে গেলেন। সত্যি ট্র্যাজিক। জীবন কতটা অনিশ্চয়তার, এই মৃত্যু আবারও দেখিয়ে দিয়ে গেলো। তার পরিবার ও কাছের বন্ধুদের সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই।

ভিভিএস লক্ষ্মণ শোক জানিয়ে বলেন, ‘আমরা সবাই শোকাহত। কেকের এমন বিদায় মেনে নেওয়া যায় না। তার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

গভীর শোক জানিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটে লিখেছেন, গানের মাধ্যমে আমরা এই শিল্পীকে সব সময় স্মরণে রাখবো। কেকের মৃত্যু ভারতীয় সংগীতে বড় ক্ষতি উল্লেখ করে শোকবার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩১ মে) বলিউডের অন্যতম সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (কেকে) মারা গেছেন। কলকাতা নজরুল মঞ্চে গান গাওয়ার কিছু সময় পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সিএমআরআই হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা ধারণা করছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এই শিল্পী।

১৯৯৯ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘পাল’ ব্যাপক সাড়া ফেলে। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি এই শিল্পীকে। বলিউড চলচ্চিত্রে গেয়েছেন অসংখ্য গান। গানের মধ্য দিয়েই ভক্তদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন কেকে। প্রয়াত বলিউড গায়কের গানের তালিকায় রয়েছে জারা সা, দিল ইবাদত, কেয়া মুঝে পেয়ার হে, তুহি মেরি সাব হে, বিতে লামহে, আখোমে তেরি আজাবসির মতো অসংখ্য জনপ্রিয় গান। হিন্দি, বাংলা, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালায়লম, মারাঠি, ভাষায়ও প্লেব্যাক করেছেন। ২০০৫ সালে তামিল ভাষায় বেস্ট প্লেব্যাক সিঙ্গার নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৬৮ সালের ২৩ আগস্ট দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন এই গুণী শিল্পী।

সূত্র: এনডিটিভি, জি নিউজ।